কে বা কারা অংশীদার হতে পারেন ?

1932 সালের অংশীদারি আইনে কারা অংশীদার হতে পারেন সে বিষ্যয়ে সুস্পষ্ট নির্দেষ আছে। নিন্মোক্ত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগণ ও সংস্থার বাইরে যে কেউ অংশীদার বলে গন্য হয় –

1. সক্ষম ব্যক্তি
2. নাবালক
3. বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি
4. দেওলিয়া ব্যক্তি
5. মহিলাগণ
6. কোম্পানী
7. বিদেশী শত্রু

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল –

1. সক্ষম ব্যক্তি – ভারতীয় চুক্তি আইনের 11 নং ধারা অনুসারে প্রত্যেক ব্যক্তিই চুক্তি সম্পাদনে যোগ্য যদি তিনি যে আইনের অধীনস্থ সেই আইন অনুসারে সাবালক হয়ে থাকেন। যদি তাঁর মস্তিষ্কে বিকৃতি না ঘটে এবং যদি তিনি যে আইনের অধীনস্থ সেই আইনের দ্বারা চুক্তি সম্পাদনে অযোগ্য বলে বিবেচিত না হয়।
   
2. নাবালক – ভারতীয় চুক্তি আইন অনুযায়ী কোনো নাবাওক চুক্তি সম্পাদন করতে পারেন না। অংশীদারি আইনের 30 নং ধারা অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠিত অংশীদারি কারবারের সকল অংশীদার সম্মত হলে একজন নাবালক অংশীদার হিসাবে গণ্য হয়। কারবারের সুযোগ সুবিধা ও লভ্যাংশ পাবে কিন্তু কোনো দায়দায়িত্ব থাকবেনা।
   
3. বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি – ভারতীয় চুক্তি আইন অনুযায়ী কোনো বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি চুক্তি সম্পাদনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
   
4. দেওলিয়া ব্যক্তি – আদালত দ্বারা ঘোষিত কোনো দেউলিয়া ব্যক্তি অংশীদার হতে পারেন না।
   
5. মহিলাগণ – যে কোনো বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলা অংশীদার হতে পারেন শুধুমাত্র নাবালক ও বিকৃত মস্তিষ্ক সম্পন্ন মহিলারা ব্যতীত।
   
6. কোম্পানী – 1956 সাএর কোম্পানী আইন অনুসারে যে কোনো কোম্পানী প্রথমে তৈরী হয় ও নিবন্ধিত হয়। এক্ষেত্রে মালিকদের দায় সীমিত। কিন্তু অংশীদারি কারবারে মালিকদের দায় অসীম। সুতরাং একটি কোম্পানী কখনোই অংশীদারি কারবারের অংশীদারি হতে পারে না। কোম্পানীটি একক ব্যক্তি হিসাবে অংশীদারি কারবারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে।
   
7. বিদেশী শত্রু – যে কোনো বিদেশী শত্রুর সঙ্গে দেশ কখনোই চুক্তিতে আবদ্ধ হবে না। কিন্তু শত্রু ছাড়া বিদেশী দেশগুলির সঙ্গে অবশই অংশীদারি চুক্তিতে আবদ্ধ হবে তবে এক্ষেত্রে আইনের অনুমতি সাপেক্ষে।